প্রফেসর
প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র
চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন ক্লিনিকে
ভর্তি হয়েছেন। তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গতকাল
(৮ জানুয়ারি) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম
জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
ডা.
জাহিদ বলেন, দীর্ঘ জার্নি শেষে লন্ডন ক্লিনিকে সুস্থ আছেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসকরা যতদিন দরকার মনে করবেন, তিনি ততদিন এ হাসপাতালে ভর্তি
থাকবেন।
তিনি
বলেন, বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে প্রশংসা করেছেন প্যাট্রিক কেনেডি। বাংলাদেশে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করা যায় না। এখানে এসব করা হবে।
হাসপাতাল
থেকে ছাড়া পেয়ে খালেদা জিয়া তার বড় ছেলে তারেক
রহমানের বাসায় থাকবেন বলে জানান ডা. জাহিদ।
তিনি
বলেন, সেখানেও তিনি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকবেন।
এ
বিষয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক
বলেন, হাসপাতালে ভর্তি করার পর খালেদা জিয়ার
বেশকিছু টেস্ট করা হয়েছে। ডাক্তাররা তাদের প্রাথমিক কার্যকম শুরু করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) থেকে
তার যথাযথ চিকিৎসা শুরু করবেন তারা।
তিনি
আরও বলেন, খালেদা জিয়া যথেষ্ট হাসিখুশি রয়েছেন। তার মনোবল অনেক শক্ত। তিনি দীর্ঘ জার্নি করে আসার পরেও বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে না উঠে ছেলে
তারেক রহমানের গাড়িতে করেই হাসপাতালে এসেছেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এর
আগে, বাংলাদেশ সময় বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে
লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে
স্বাগত জানাতে তার বড় ছেলে বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জোবাইদা
রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত হন।
এরপর
যখন হুইল চেয়ারে করে মা খালেদা জিয়া
ছেলের কাছে আসেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে তাকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানান তারেক রহমান। মুহূর্তেই সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ
সৃষ্টি হয়।
পরে
বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
প্রসঙ্গত,
উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়া। এ সময় হযরত
শাহজালাল বিমানবন্দরে দলের মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতারা তাকে বিদায় জানান।